এবার নিজ ইউনিয়নের মেম্বরদের রোষের মুখে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস। ৮ মেম্বরের সম্মিলিত চক্রান্তে পড়েছেন বলে দাবি চেয়ারম্যানের।
বৃহস্পতিবার এক অভিযোগ পত্রে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ জন সদস্য (মেম্বর) একত্রিত ভাবে দাবি করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস বিধবা-প্রতিবন্ধী-বয়ষ্ক ভাতার তালিকা প্রস্তুতে তাদের সাথে সমন্বয় করেননি। বরং, প্রতিবন্ধী নয় এমন ব্যাক্তিকে প্রতিবন্ধী, বয়সে গড়পড় আছে এমন ব্যাক্তিকে বয়ষ্ক,স্বামী আছে এমন নারীকে বিধবা বানানোর চেষ্টা করছেন। এক ওয়ার্ডের মানুষকে অন্য ওয়ার্ডের হিসাবে দেখিয়েছেন।
অভিযোগে তারা সমন্বয়ের কমতি থাকাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন জানিয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, লিখিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে বৃহস্পতিবার পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, মেম্বরদের এসব দাবি একেবারেই অযৌক্তিক এবং কুরুচিপূর্ণ অপরাজনীতি বলে ক্ষোভ জানান চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, যে কাগজ কে কেন্দ্র করে মেম্বররা অভিযোগ তুলেছেন,সেসব কাগজে এইসব মেম্বরদের সবার সাক্ষর আছে। কারো কোন আপত্তি থাকলে তারা তখনই বলতে পারতেন। অভিযোগ পত্রে তাদের করা প্রতিটি অভিযোগ ভিত্তিহীণ। কেবল আমাকে রাজনৈতিক ভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতেই তাদের এই অপচেষ্টা।
সাক্ষরকারী মেম্বরদের রাজনৈতীক মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ২২ হাজার লোকের ইউনিয়নে একজন চেয়ারম্যানের পক্ষে বাড়ি-বাড়ি চিনে কাজ করা সম্ভব নয়, প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মেম্বর থাকে। স্ব-স্ব মেম্বরের দেয়া তথ্য নিয়েই তালিকা করা হয়েছে। সেটা যাচাই-বাছাই পূর্বক চূড়ান্ত করবে উপজেলা প্রশাসন। কোন তথ্যে দুর্নীতির আভাস থাকলে সেটা ওই মেম্বরদের গাফিলতি বা চক্রান্ত।
প্রতিবন্ধীর সার্টিফিকেট প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন,প্রতিবন্ধীর সার্টিফিকেট দেয় হাসপাতাল,চেয়ারম্যানরা নয়।
জামায়াত-বিএনপি’র তীব্র নির্যাতন সহ্য করেছি, ২০০১-০৬ সরকারের যৌথবাহিনীর নির্বাচনে নিজের বাকশক্তি হারাতে হয়েছে (বর্তমানে বাক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে) জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু অসাধু ওয়ার্ড প্রতিনিধির কার্ড বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটায় তারা এসব পথ বেছে নিয়েছে। এখন উন্মুক্ত পদ্ধতিতে বয়ষ্ক-বিধবা-প্রতিবন্ধী কার্ড দেয়া হয় এখানে চেয়ারম্যানের হাতে কোন স্বজনপ্রীতির সুযোগ নেই।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ছানোয়ার আলী জানান, আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্মুক্ত বাছাই করেছি,সেখান থেকেই চূড়ান্ত তালিকা করা হবে।
উল্লেখ্য, পারিবারিক আভিজাত্যে বেড়ে ওঠা মহিউদ্দিন বিশ্বাসের স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ সুনাম রয়েছে।